সরাসরি বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন

বিশ্ব ডেস্ক । বিনা
দীর্ঘ তিন বছর পর প্রথমবার সরাসরি বৈঠকে বসেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। গত শুক্রবার তুরস্কের ইস্তানবুলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে এই আলোচনা শুরু হয়। এর আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার তিন মাস পর ২০২২ সালের এপ্রিলে সবশেষ বৈঠকে বসেন প্রতিবেশী দুই দেশ। খবর বিবিসির।
চলমান সংঘাতের কূটনৈতিক সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক আহ্বানের প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফের সংলাপ শুরুর আগ্রহ দেখান। তার প্রেক্ষিতে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হলো। গত বৃহস্পতিবার আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। রুশ প্রতিনিধি দল সারাদিন ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের আগমনের অপেক্ষায় ছিল।
ইউক্রেনের নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার প্রতিনিধি দলের নাম ঘোষণা করেন। এতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তম উমেরভের নেতৃত্বে ১২ জন প্রতিনিধি রয়েছেন। অন্যদিকে ইস্তানবুলের আলোচনার জন্য গত বুধবার প্রতিনিধি দলের তালিকা প্রকাশ করে ক্রেমলিন। রুশ প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে আলোচনায় প্রতিনিধিত্ব করেন তারই প্রতিনিধি ভ্লাদিমির মেদিনস্কি। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় তুরস্কের মধ্যস্থতায়। ইউক্রেন ও রুশ প্রতিনিধি দল একই কক্ষের দুই পাশে টেবিলে বসেন। তাদের মাঝখানে বসেন তুর্কি কর্মকর্তারা।
রুশ নেতারা বৃহস্পতিবার বলেন, তাদের মনোযোগ দীর্ঘমেয়াদি শান্তি এবং সংকটের মূল কারণগুলো খুঁজে বের করার ওপর। ক্রেমলিনের বক্তব্যের অর্থ হলো- তারা আসলে যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহী নয়। তারা ক্রেমলিনের দৃষ্টিকোণ থেকে এই যুদ্ধের সূত্রপাত কী তা মোকাবিলা করতে আগ্রহী। অথচ রুশ প্রতিনিধি দলের প্রধান গত বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, রাশিয়া আপোসের মন নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। পর্যবেক্ষকরা এটাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটি পদক্ষেপ এবং রাশিয়ার পক্ষ থেকে কিছুটা নমনীয়তার লক্ষণ হিসেবে দেখছেন। রুশ প্রতিনিধি দলের এক ব্যক্তিই কেবল আপোসের কথা বলেছেন। বাকি সবাই তাদের মূল দাবিতে অটল।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ না থাকা এবং কমপক্ষে পাঁচটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলের ওপর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ।
জেলেনস্কির পক্ষে যার সবই সম্পূর্ণরুপে অগ্রহণযোগ্য। এদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে তাদের সেনারা আরও দুটি গ্রাম দখল করেছে। তবে ইউক্রেন এই দাবি অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে, প্রায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্রন্টলাইনে এখনো তীব্র লড়াই চলছে।